ঢাকা ০৪:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিথ্যা মামলা দিয়ে হুমকির প্রতিবাদে সালথায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা

আরিফুল ইসলাম, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের সালথায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে মাওলানা খোকন মোল্যা, মাওলানা শাহজাহান, পান্নু মোল্যা ও কমিরউদ্দিন মোল্যার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও বিভিন্ন সময়ে হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের আটঘর গ্রামে ভুক্তভোগী পরিবারের বাড়ির সামনে সড়কের উপর এই মানববন্ধন কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ভুক্তভুগী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এবং এলাকার কয়েকশত নারী ও পুরুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে ভূক্তভোগি মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ খোকন বলেন, আমার ভাতিজা মালোশিয়া প্রবাসী রবিন মোল্যার সাথে প্রতিবেশী দুলাল মোল্যার সাথে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। ঐজমি রমিন মোল্যা ক্রয় করার পর থেকে ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু কিছুদিন আগে ঐ জমিতে টিউবয়েল স্থাপন করতে গেলে দুলাল মোল্যা তার জমি দাবি করে স্থানীয় ইউপি সদস্য লতিফ মাতুব্বর ও সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য রাজিয়া বেগমকে নিয়ে বাধা সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে তারা নিরুপায় হয়ে জমির বিরোধ মিমাংসার জন্য ওই দুই ইউপি সদস্যের কাছে গেলে তারা প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে কাছে টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় তারা নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। একপর্যায় কোন উপায় না পেয়ে রবিন মোল্যার স্ত্রী বাদী হয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে। এই মামলায় আসামী লতিফ মেম্বার জেল খাটেন।

তিনি আরও বলেন, জেল থেকে বাহির হয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে ওই ইউপি সদস্য। পরবর্তীতে আমাদের কে হয়রানি করার জন্য আমাদের নামে দুটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এতে জেল খাটা সহ আমরা বিভিন্নভাবে হয়রানির স্বীকার হই। একটি মামলা ফরিদপুর ডিবি পুলিশ তদন্ত করে সঠিক প্রতিবেদন দিলে তারা নারাজি দিয়ে পুনরায় পিবিআইতে তদন্ত পাঠায়। রবিবার মামলাটি পিবিআই সরেজমিন তদন্তে করে চলে যাওয়ার পর লতিফ মেম্বার তার দুই ছেলেসহ দশ-পনেরো জন লোক সাথে নিয়ে আমাদের গালিগালাজ করে ও হুমকি ধামকি দেয়। এরপর স্থানীয় লেকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। সরকারের কাছে সুবিচার দাবি করছি।

আরেকজন ভুক্তভুগী মওলানা সাজ্জাদুর রহমান শাহজাহান বলেন, মুলত লতিফ মেম্বার যে মামলায় জেল খেঠেছে আমরা ঐ মামলার সাক্ষী হওয়ায় আমদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও হুমকি প্রদান করছে। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এমতাবস্থায় সাংবাদিকদের মাধ্যমে সরকার ও পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে নিরাপত্তাসহ আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই। সেই সাথে মিথ্যা মামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি করছি।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য লতিফ মাতুব্বর বলেন, আমরা কাউকে হুমকি ধামকি দেয়নি। ওরা একেরপর এক ষড়যন্ত্র করছে আমাদের বিরুদ্ধে। আরেক অভিযুক্ত সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য রিজিয়া বেগমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল হাসান খান সোহাগ বলেন, মানববন্ধনের বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দেয় সেইক্ষেত্রে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:০১:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৪১ বার পড়া হয়েছে

মিথ্যা মামলা দিয়ে হুমকির প্রতিবাদে সালথায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা

আপডেট সময় ০৬:০১:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফরিদপুরের সালথায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে মাওলানা খোকন মোল্যা, মাওলানা শাহজাহান, পান্নু মোল্যা ও কমিরউদ্দিন মোল্যার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও বিভিন্ন সময়ে হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের আটঘর গ্রামে ভুক্তভোগী পরিবারের বাড়ির সামনে সড়কের উপর এই মানববন্ধন কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ভুক্তভুগী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এবং এলাকার কয়েকশত নারী ও পুরুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে ভূক্তভোগি মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ খোকন বলেন, আমার ভাতিজা মালোশিয়া প্রবাসী রবিন মোল্যার সাথে প্রতিবেশী দুলাল মোল্যার সাথে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। ঐজমি রমিন মোল্যা ক্রয় করার পর থেকে ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু কিছুদিন আগে ঐ জমিতে টিউবয়েল স্থাপন করতে গেলে দুলাল মোল্যা তার জমি দাবি করে স্থানীয় ইউপি সদস্য লতিফ মাতুব্বর ও সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য রাজিয়া বেগমকে নিয়ে বাধা সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে তারা নিরুপায় হয়ে জমির বিরোধ মিমাংসার জন্য ওই দুই ইউপি সদস্যের কাছে গেলে তারা প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে কাছে টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় তারা নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। একপর্যায় কোন উপায় না পেয়ে রবিন মোল্যার স্ত্রী বাদী হয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে। এই মামলায় আসামী লতিফ মেম্বার জেল খাটেন।

তিনি আরও বলেন, জেল থেকে বাহির হয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে ওই ইউপি সদস্য। পরবর্তীতে আমাদের কে হয়রানি করার জন্য আমাদের নামে দুটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এতে জেল খাটা সহ আমরা বিভিন্নভাবে হয়রানির স্বীকার হই। একটি মামলা ফরিদপুর ডিবি পুলিশ তদন্ত করে সঠিক প্রতিবেদন দিলে তারা নারাজি দিয়ে পুনরায় পিবিআইতে তদন্ত পাঠায়। রবিবার মামলাটি পিবিআই সরেজমিন তদন্তে করে চলে যাওয়ার পর লতিফ মেম্বার তার দুই ছেলেসহ দশ-পনেরো জন লোক সাথে নিয়ে আমাদের গালিগালাজ করে ও হুমকি ধামকি দেয়। এরপর স্থানীয় লেকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। সরকারের কাছে সুবিচার দাবি করছি।

আরেকজন ভুক্তভুগী মওলানা সাজ্জাদুর রহমান শাহজাহান বলেন, মুলত লতিফ মেম্বার যে মামলায় জেল খেঠেছে আমরা ঐ মামলার সাক্ষী হওয়ায় আমদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও হুমকি প্রদান করছে। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এমতাবস্থায় সাংবাদিকদের মাধ্যমে সরকার ও পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে নিরাপত্তাসহ আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই। সেই সাথে মিথ্যা মামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি করছি।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য লতিফ মাতুব্বর বলেন, আমরা কাউকে হুমকি ধামকি দেয়নি। ওরা একেরপর এক ষড়যন্ত্র করছে আমাদের বিরুদ্ধে। আরেক অভিযুক্ত সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য রিজিয়া বেগমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল হাসান খান সোহাগ বলেন, মানববন্ধনের বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দেয় সেইক্ষেত্রে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।