ঢাকা ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে বিএনপির প্লাকার্ড ভেঙ্গে জানান দিল আ:লীগ এখনো সক্রিয়

আরিফুল ইসলাম, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:

ফরিদপুর সদর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র পূর্ব খাবাসপুর মোড়ে ইজি এবং আড়ংয়ের শোরুম এর সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে লাগানো শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত প্লাকার্ড ভেঙে ফেলেছে শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সাবেক এ পি এস এবং ফরিদপুর জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায় ফুয়াদের ব্যবসায়িক পার্টনার ওমর খান। জানা যায় ৭ ই মার্চ শুক্রবার রাত দশটার দিকে কয়েকজন লোক সাথে নিয়ে ওমর খান প্লাকার্ডটি ভেঙে ফেলে। এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন বাদি হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওমর এই ঘটনার পূর্বেও বিভিন্ন সময়ে বিএনপির পোস্টার ও প্লাকার্ড ভাঙচুর করেছে। গতকাল এই প্লাকার্ড ভাঙচুরের বিষয়ে তার কাছে জেলা যুবদলের সভাপতি মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন” যাদের প্লাকার্ড টানানো হয়েছে তারা সবাই তো মারা গিয়েছে তাদের প্লাকার্ড টানিয়ে লাভ কি”?

এ ব্যাপারে জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব বলেন, “পতিত আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পূর্বে ওমর একজন সাধারণ দর্জি শ্রমিক ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পরই আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস এর সহায়তায় ফুলে ফেপে উঠে তার সম্পদের পরিমাণ । বর্তমানে সে ফরিদপুরের একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। একাধিক বহুতল ভবন ছাড়াও তার একাধিক রয়েছে শপিং কমপ্লেক্স, রিয়েল এস্টেটসহ নানা ধরনের ব্যবসা।
তিনি আরো বলেন, প্লাকার্ড গুলো অনেক আগেই টানানো হয়েছে এতদিন পরে ৭ই মার্চ কেন এগুলো ভাঙবে? মূলত এই প্লাকার্ড ভাঙ্গার মাধ্যমে পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসরেরা জানান দিতে চায় যে ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ এখনো সক্রিয়। ”

এ ব্যপারে অভিযুক্ত ওমরের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে তোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন” লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:২৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
২৩ বার পড়া হয়েছে

ফরিদপুরে বিএনপির প্লাকার্ড ভেঙ্গে জানান দিল আ:লীগ এখনো সক্রিয়

আপডেট সময় ০৯:২৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

ফরিদপুর সদর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র পূর্ব খাবাসপুর মোড়ে ইজি এবং আড়ংয়ের শোরুম এর সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে লাগানো শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত প্লাকার্ড ভেঙে ফেলেছে শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সাবেক এ পি এস এবং ফরিদপুর জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায় ফুয়াদের ব্যবসায়িক পার্টনার ওমর খান। জানা যায় ৭ ই মার্চ শুক্রবার রাত দশটার দিকে কয়েকজন লোক সাথে নিয়ে ওমর খান প্লাকার্ডটি ভেঙে ফেলে। এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন বাদি হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওমর এই ঘটনার পূর্বেও বিভিন্ন সময়ে বিএনপির পোস্টার ও প্লাকার্ড ভাঙচুর করেছে। গতকাল এই প্লাকার্ড ভাঙচুরের বিষয়ে তার কাছে জেলা যুবদলের সভাপতি মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন” যাদের প্লাকার্ড টানানো হয়েছে তারা সবাই তো মারা গিয়েছে তাদের প্লাকার্ড টানিয়ে লাভ কি”?

এ ব্যাপারে জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব বলেন, “পতিত আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পূর্বে ওমর একজন সাধারণ দর্জি শ্রমিক ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পরই আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস এর সহায়তায় ফুলে ফেপে উঠে তার সম্পদের পরিমাণ । বর্তমানে সে ফরিদপুরের একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। একাধিক বহুতল ভবন ছাড়াও তার একাধিক রয়েছে শপিং কমপ্লেক্স, রিয়েল এস্টেটসহ নানা ধরনের ব্যবসা।
তিনি আরো বলেন, প্লাকার্ড গুলো অনেক আগেই টানানো হয়েছে এতদিন পরে ৭ই মার্চ কেন এগুলো ভাঙবে? মূলত এই প্লাকার্ড ভাঙ্গার মাধ্যমে পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসরেরা জানান দিতে চায় যে ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ এখনো সক্রিয়। ”

এ ব্যপারে অভিযুক্ত ওমরের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে তোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন” লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।