নালিতাবাড়ী শ্যালকের শাবলের আঘাতে ভগ্নিপতির মৃত্যু
বাড়ির আঙিনায় বেড়া দেওয়া নিয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় শ্যালকের শাবলের আঘাতে ভগ্নিপতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার পৌরশহরের কালিনগর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির নাম মজিবুর রহমান (৬০)। তিনি কালিনগর গ্রামের মৃত মেরু মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত ইউনুস আলী (৩৫) একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর বরাতে পুলিশ জানায়, পৌরশহরের কালিনগর মহল্লায় পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা মজিবুর রহমান ও তাঁর শ্যালক ইউনুস আলী। ইউনুসের স্ত্রী তিন বছর আগে দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে কাজের সন্ধানে ঢাকায় চলে যান। এরপর থেকে ইউনুস একাই বাড়িতে বসবাস করতেন।
গতকাল দুপুরে ইউনুস বাড়ির আঙিনার ওপর দিয়ে মানুষের চলাচল বন্ধে বাঁশের বেড়া দিতে যান। এ সময় তাঁর দুলাভাই মজিবুর বেড়া দিতে নিষেধ করলে দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ইউনুস লোহার শাবল দিয়ে মজিবুরের মাথায় আঘাত করলে তাঁর মাথা ফেটে যায়। মজিবুরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্বজনেরা। বিকেলে মজিবুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিতে বলেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। শেরপুর নেওয়ার পথে মজিবুরের মৃত্যু হয়।
পুলিশ খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে মজিবুরের লাশ উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী থানায় নিয়ে যায়। অন্যদিকে ঘটনার মজিবর রহমান উপজেলার আয়নাতলী গ্রামের মৃত মীরু শেখ এর ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুর বাড়িতেই স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছিলো।
পুলিশ ঘটনায় জড়িত শ্যালক ইউনুছ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা গ্রহণ করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।