ঢাকা ০৪:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুকসুদপুরে সর্বরোগের চিকিৎসার নামে ভন্ড  ফকিরের প্রতারণা

বাদশাহ মিয়াঃ

 

সর্বরোগের চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষের সাথে দীর্ঘদিন থেকে হাচান শিকদার ওরফে হাচান ফকির প্রতারণা করে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের।

প্রতারক হাচান শিকদার ওরফে হাচান ফকির ওই গ্রামের রায়হান শিকদারের পুত্র।

দীর্ঘদিন থেকে ভন্ড ফকির হাচান শিকদার গ্রামের সহজ সরল মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসার বিষয়টি সর্বমহলে অকিবহাল থাকলেও প্রতারনা বন্ধে কারও কোন উদ্যোগ নেই।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অক্ষর জ্ঞানহীন হাচান দীর্ঘবছর পূর্বে স্বপ্নে অধিষ্ঠ হয়ে গ্রাম্য ফকিরের রূপে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করে।
প্রথমে সে এলাকায় সহজ সরল নারীদের জিনে ধরা, ভুতে ধরা, জাদুটেনা, বানটোনার চিকিৎসার শুরু করেন। পরবর্তীতে হাচান ফকিরের চিকিৎসার পরিধি বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে তিনি ঝাড়ফুঁকের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ লিভার, জন্ডিস, কিডনী, হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ জটিল সর্বরোগের চিকিৎসা করে থাকেন। পঞ্চম শ্রেণি পাশ না করেও রোগীদের আয়ুর্বেদ ঔষধ দিয়ে থাকেন।
সূত্রে আরও জানা গেছে, নিজস্ব লোকজনে হাচান ফকিরের কেরামতির কথা বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে দেয়ার পর প্রতিদিন রোগী তার বাড়িতে ভীড় করতে থাকেন। তবে কোনো একজন রোগী তার  চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়েছেন কিনা তা জানেন না কেউ। গোহালা ইউনিয়নের শেফালী বেগম বলেন, আমার মেয়ের বাচ্চা হয়না তাই লোকমুখে শুনে হাচান ফকিরের কাছে নিয়ে এসেছি। আগে একবার আসছি তেমন কোন পরিবর্তন হয় নাই তাই আজ আবার আসলাম।

হাচান ফকির চিকিৎসার নামে প্রতারণার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি সুনামের সাথে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে সর্বরোগের চিকিৎসা করে আসছি। একটি মহল আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আয়ুর্বেদ ঔষধ দেওয়ার বিষয়ে বলেন, আমি ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়েছি এজন্য আয়ুর্বেদ ঔষধ দেই, এতে কোন ক্ষতি নাই, ক্ষতি হলে কোম্পানি দায়ী আমার কোন দোষ নাই, ওষুধের গায়ে লেখা আছে কোম্পানি দায়ী।

এ ব্যাপারে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রায়হান ইসলাম শোভন বলেন, ভন্ড ফকিরের প্রতারণার বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:১২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
২৮ বার পড়া হয়েছে

মুকসুদপুরে সর্বরোগের চিকিৎসার নামে ভন্ড  ফকিরের প্রতারণা

আপডেট সময় ০৬:১২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

 

সর্বরোগের চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষের সাথে দীর্ঘদিন থেকে হাচান শিকদার ওরফে হাচান ফকির প্রতারণা করে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের।

প্রতারক হাচান শিকদার ওরফে হাচান ফকির ওই গ্রামের রায়হান শিকদারের পুত্র।

দীর্ঘদিন থেকে ভন্ড ফকির হাচান শিকদার গ্রামের সহজ সরল মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসার বিষয়টি সর্বমহলে অকিবহাল থাকলেও প্রতারনা বন্ধে কারও কোন উদ্যোগ নেই।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অক্ষর জ্ঞানহীন হাচান দীর্ঘবছর পূর্বে স্বপ্নে অধিষ্ঠ হয়ে গ্রাম্য ফকিরের রূপে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করে।
প্রথমে সে এলাকায় সহজ সরল নারীদের জিনে ধরা, ভুতে ধরা, জাদুটেনা, বানটোনার চিকিৎসার শুরু করেন। পরবর্তীতে হাচান ফকিরের চিকিৎসার পরিধি বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে তিনি ঝাড়ফুঁকের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ লিভার, জন্ডিস, কিডনী, হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ জটিল সর্বরোগের চিকিৎসা করে থাকেন। পঞ্চম শ্রেণি পাশ না করেও রোগীদের আয়ুর্বেদ ঔষধ দিয়ে থাকেন।
সূত্রে আরও জানা গেছে, নিজস্ব লোকজনে হাচান ফকিরের কেরামতির কথা বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে দেয়ার পর প্রতিদিন রোগী তার বাড়িতে ভীড় করতে থাকেন। তবে কোনো একজন রোগী তার  চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়েছেন কিনা তা জানেন না কেউ। গোহালা ইউনিয়নের শেফালী বেগম বলেন, আমার মেয়ের বাচ্চা হয়না তাই লোকমুখে শুনে হাচান ফকিরের কাছে নিয়ে এসেছি। আগে একবার আসছি তেমন কোন পরিবর্তন হয় নাই তাই আজ আবার আসলাম।

হাচান ফকির চিকিৎসার নামে প্রতারণার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি সুনামের সাথে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে সর্বরোগের চিকিৎসা করে আসছি। একটি মহল আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আয়ুর্বেদ ঔষধ দেওয়ার বিষয়ে বলেন, আমি ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়েছি এজন্য আয়ুর্বেদ ঔষধ দেই, এতে কোন ক্ষতি নাই, ক্ষতি হলে কোম্পানি দায়ী আমার কোন দোষ নাই, ওষুধের গায়ে লেখা আছে কোম্পানি দায়ী।

এ ব্যাপারে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রায়হান ইসলাম শোভন বলেন, ভন্ড ফকিরের প্রতারণার বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।